ময়নামতিতে নিন্মমানের সামগ্রী ও ধীরগতিতে চলছে সড়ক নির্মান
আপডেট সময় :
২০২৫-০৩-০১ ০০:১৬:২৬
ময়নামতিতে নিন্মমানের সামগ্রী ও ধীরগতিতে চলছে সড়ক নির্মান
বুড়িচং কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লা ময়নামতি সেনানিবাস সংলগ্ন নাজিরাবাজার থেকে ময়নামতি সাহেবের বাজার পর্যন্ত পৌঁনে দু’কিলোমিটার দীর্ঘ সড়ক নির্মানে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারসহ কাজের ধীর গতির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয়রা।
এঅবস্থায় একদিকে এই সড়ক পথে চলাচলরত হাজার হাজার বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষদেও চরমদুর্ভোগ যেমন পোহাতে হচ্ছে, তেমনি দীর্ঘদিন পরে সড়কটির নির্মান কাজের স্থায়ীত্ব নিয়েও এলাকাবাসী চরম ক্ষুব্ধ।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের নাজিরাবাজার থেকে সাহেবের বাজার স্থানটির প্রায় পৌনে দু’কিলোমিটার সড়ক পথ নির্মান কাজ শুরু করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিভাগ। ময়নামতি সেনানিবাস সংলগ্ন নাজিরাবাজার অংশটি ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং সাহেবের বাজার অংশটি কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সাথে সংযুক্ত। এদুটি এলাকার মাঝে রয়েছে ঘোষনগর, মাধাইয়া, হানাইয়ারবাড়ি, শাহদৌলতপুর গ্রাম। জনবহুল এসব গ্রামগুলোর কমপক্ষে ৭/৮ হাজার লোক প্রতিদিন চলাচল এই সড়ক পথে। এছাড়াও দুটি মহাসড়কের লিংক রোড হিসেবেও এই সড়কটির গুরুত্ব অনেক বেশী। তাছাড়াও ঘোষনগর এলাকায় বর্তমানে নির্মানাধীন রয়েছে আর্মি মেডিকেল কলেজ। তাই তারা প্রায় প্রতিদিন ভারী যানবাহনে করে নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে এ সড়কটিতে চলাচল করে। এঅবস্থায় দীর্ঘদিন পরে সড়কটি নতুন করে নির্মান কাজ শুরু হলে স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়। অভিযোগ রয়েছে, ৩ মিটার বা ৯ ফুট প্রসস্থ সড়কটির নির্মান কাজ শুরুতে নির্মান সামগ্রীর মান নিয়ে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করে। সড়কটির দু’পাশে নিন্মমানের ইট গেথে সড়কটির পুরাতন খোয়াগুলো ব্যবহার শুরু করলে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করেন। স্থানীয় উত্তর ঘোষনগর বায়তুন নুরানী জামে মসজিদের পেশ ইমাম আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নির্মানাধীন সড়কটিতে ব্যবহার করা ইট নিয়ে ঠিকাদারের লোকজনদের কাছে প্রতিবাদ করলে মোবাইল যোগে তাদের অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ হুমকী দেয়। একই কথা বললেন, ঘোষনগর এলাকার রফিক, ফারুক, হুমায়ুন কবীর, মফিজ, সাকিব প্রমুখ ।
তারা আরো জানান, ঘনবসতিপূর্ণ এই এলাকার বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, কর্মজীবি, ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি ভাঙ্গাচোরা হওয়ায় চলাচলে চরম দুর্ভোগের শিকার হয়।
রিক্সা, ইজিবাইক, অটোরিক্সা নিয়ে চলাচলে চরম অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও মুমুর্ষূ রোগী, গর্ভবতী নারীসহ বয়স্ক লোকজনদের যাতায়াতেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাদের দাবী সড়কটি মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার। এদিকে স্থানীয়দের দাবীর মুখে কাজ বন্ধ হয়ে গেলে ২৬ ফেব্রুয়ারী বুধবার সরেজমিন ঘোষনগর এলাকায় আসেন বুড়িচং উপজেলা প্রকৌশলী আলিফ মাহমুদ। এসময় তিনি ঘটনাস্থলে নিন্মমানের ইট ব্যবহার সত্যতা খুঁজে পান। পরে ঠিকাদার ও স্থানীয়দের উপস্থিতিতে সড়কটি দরপত্র অনুযায়ী নির্মানের প্রতিশ্রুতি দেন।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স